Posts

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে প্রশ্ন "জীবন কি?"

Image
উত্তর :  ইতিহাস জুড়ে দার্শনিক, বিজ্ঞানী এবং চিন্তাবিদদের দ্বারা অন্বেষণ করা হয়েছে যে একটি গভীর এবং জটিল এক. বিভিন্ন শৃঙ্খলা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করে। জৈবিক দৃষ্টিকোণ: জৈবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জীবনকে প্রায়শই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয় যেমন বৃদ্ধি, প্রজনন, বিপাক, উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া এবং পরিবেশের সাথে অভিযোজন। জীবন্ত প্রাণী কোষ দ্বারা গঠিত এবং এই মৌলিক প্রক্রিয়াগুলি প্রদর্শন করে। দার্শনিক দৃষ্টিকোণ: দার্শনিকরা বহু শতাব্দী ধরে জীবনের প্রকৃতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ, অস্তিত্ববাদীরা যুক্তি দিতে পারে যে জীবন হল অস্তিত্বের বিষয়গত অভিজ্ঞতা, যার অর্থ এমন কিছু যা ব্যক্তিদের নিজেদের জন্য তৈরি করতে হবে। আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি: অনেক আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য জীবনকে ঐশ্বরিক শক্তি বা সারাংশকে দায়ী করে। এই বিশ্বাস ব্যবস্থায়, জীবনের প্রায়শই শারীরিক এবং জৈবিক দিকগুলির বাইরে একটি উদ্দেশ্য বা অর্থ থাকে। মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ: মনোবিজ্ঞানীরা জীবনকে চেতনা, আত্ম-সচেতনতা এবং অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে পারেন যা একজন ব্যক্তির ...

ফিলিস্তিন নিয়ে কোরআন-হাদিসের অমূল্য বাণী

Image
ফিলিস্তিন নিয়ে কোরআন-হাদিসের অমূল্য বাণী ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদে আকসা ও সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ। এ বিষয়ে কোনো মাজহাবের এমনকি কোনো আলেমেরও দ্বিমত নেই। এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়; বরং সব মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা নিয়ে অনেক বর্ণনা রয়েছে। নিচে এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।  ১. ইসরা ও মিরাজের ভূমি আল্লাহ তাআলা বলেন, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১) জেরুজালেম হলো ইসরা বা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীর নামাজের ইমামতি করেন। তারপর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন। ফিলিস্তিন যদি মুসলমানদের জন্য গুরুত্বহীন হত, তাহলে আল্লাহ তার প্রিয়নবীকে মক্কা থেকেই সরাসরি ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করাতেন। ২. প্রথম কিবলা ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা হলো মুসলিমদের প...

মসজিদুল আকসার ইতিহাস

Image
  মসজিদুল আকসা , আল-কুদস , আল-আকসা মসজিদ বা বায়তুল মুকাদ্দাস। ঐতিহাসিক এই মসজিদ পবিত্র নগরী জেরুজালেমে অবস্থিত। এতে ২ টি বড় এবং ১০ টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। এ মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বর্ণ , সিসা এবং মার্বেলসহ বিভিন্ন প্রকার পাথর ব্যবহৃত হয়েছে। এর আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার। পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন এই মসজিদে। পবিত্র স্থাপনা মসজিদে আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত , মহানবী (স.) বর্ণনা করেন , ‘ তোমরা তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্যকোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে পরিভ্রমণ করো না। আর সে তিনটি মসজিদ হলো — মসজিদুল হারাম , মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা। ’ ( সহিহ বুখারি: ১১১৫) কিবলা মানবজাতির প্রথমে কিবলা ‘ কাবা ’ শরিফ হলেও মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণের পর এটি কিবলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রিয়নবী (স.) ওহি লাভ ও নবুয়ত প্রকাশের সময় বায়তুল মুকাদ্দাসই কিবলা ছিল। নবীজি (স.) মদিনায় হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এ কিবলা পরিবর্তন হয়ে পুনরায় ‘ কাবা ’ কিবলা হিসেবে পুনর্নির্ধারিত হয়। এর সাক্ষী হিসেবে মদিনা শরিফে ‘ মসজিদু কিবলাতা...