একটি নক্ষত্র
মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (কাকুল)
গভীর অন্ধকার রাতে নক্ষত্রগুলো
যত উজ্জ্বল হয়ে ফুটে,
তেমনী অভাবগ্রস্থ
অর্ধাহারে অনাহারে থাকা সমাজের মানুষের মাঝে সামান্য সাহায্য এবং সঠিক পথের দিক নির্দেশনা
কতটুকু উজ্জলতা বিরাজ করে সেটা অনুভুব করার ক্ষমতা আমার নেই। যুদ্ধ পরবর্তী সময় ১৯৭১ সালেই
প্রতিষ্ঠিত হয় জাগরণী সংঘ বরুন, যা আমার জন্মেরও অনেক আগের। তাই জাগরণী সংঘ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিরাজমান অবস্থা বিশ্লেষণ
করা আমার পক্ষে সম্ভব না কিন্তু জাগরণী সংঘের উদ্দেশ্যগুলো দেখে আমার অনুভুতির সোপানে
বিরাজ করে অভাবের মাঝে কতগুলো নক্ষত্র একত্রিত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত হয়ে উজ্জলদ্বীপ্ত
শিখা হয়ে জ্বলে উঠল জাগরণী সংঘ বরুন নামে। সেই থেকে পথ চলা শুরু যা আজ আমাদের প্রতিটি সদস্যের গর্ব এই
সংঘটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠাকালী অনেক সদস্য আমাদের মাঝে নাই তাদের জন্য আমরা দোয়াকরি যেন
এই ভাল কাজটির জন্য হলেও যে আল্লাহ্ তাদের মা করে দেন, আর যারা বেঁচে আছেন তাদের আমরা
গভীর শ্রদ্ধা এবং বিনম্র সালাম জ্ঞাপন করছি। তাদের জন্য আমাদের সবুজ ছায়ায় নিমজ্জিত এই বরুন গ্রাম শান্তির নীড় হিসাবে পরিচিত। আমার জানা মতে কাপাসিয়া উপজেলার
অন্য গ্রামের একটি প্রচলিত কথা “যদি শান্তি খুঁজে পেতে চাও তবে বরুন যাও”। এই প্রচলিত কথাটি সৃষ্টির মুল কারণ জাগরণী সংঘ বরুন প্রতিষ্ঠা
এবং তার কার্যক্রম দ্বারা সামাজিক উন্নয়ন, আর্তমানবতার সেবা, বরুন গ্রাম তথা আশপাশের এলাকা পারিপার্শিক উন্নয়ন করা। গ্রামের প্রথম প্রতিষ্ঠান এই
জাগরণী সংঘ এবং অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের জনক হিসাবে আক্ষাইত করা যায় এই প্রতিষ্ঠানটিকে। দীর্ঘ ৪৬ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত
এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আজও যৌবনদ্বীপ্ত অশ্বের ন্যায় ছুটে চলেছে। এই কতৃত্বের দাবিদ্বারা জাগরণী
সংঘের সকল সদস্যদের কিন্তু হাল ধরা সারেং এর দায়িত্বে আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যগণ। তাদের এই সফল কর্মের জন্য আমরা
নবীন ও যুবক সদস্যগণ চিরকৃতজ্ঞ। সেই নিমিত্তেই বলি -
তোমাদের জানাই হাজার সালাম
প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছ আমাদের
জন্য আলোর পথের সন্ধান।
ধরে রেখেছি মোরা তাঁহা অনেক
যত্ন করে
দোয়া কর তোমাদের স্বপ্ন যেন
পৌঁছাতে পারি বিশ্বের স্বর্ণ শিখরে।
কার্যক্রম দেখে হাসি মুখে হারাবে
প্রবিন হবে নবিন অন্তর্গত
অনন্তকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে
আমাদের এই নক্ষত্র।
Comments
Post a Comment