জাগরণী সংঘের প্রতি যাদের মন আছে তারা একটু পড়বেন দয়া করে।

ধারা-৪ :  সংস্থার (জাগরণী সংঘের) মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :

(ক)      এই সংস্থা সম্পূর্ণরূপে একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হইবে।

(খ)       শিশু কল্যাণ: এই সংস্থা শিশুদের স্বাস্থ রক্ষা আর্ত বা দৈহিক বিকলাংগ ব্যাধি গ্রস্থ সু-চিকিৎসা এবং শিশুকে সামাজিক ভাবে গড়িয়া তোলা এবং চরিত্র গঠনের জন্য সাধারণ ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করবে। অসহায় শিশুদের পুর্নবাসনের ব্যব¯হা করাই হইবে এই সং¯হা অন্যতম কাজ

(গ)       যুব কল্যানঃ যুবক ও কিশোরদের কল্যানের নিমিত্তে এই সংস্থা এমন সব কার্য্য প্রণালী গ্রহণ করিবে যাহা তাহাদের নৈতিক চরিত গঠন ও সমাজ সেবা মুলক মনোভাব গড়িয়া তুলিতে সাহায্য করবে।

(ঘ)       স্ত্রী কল্যান : এই সংস্থা স্ত্রী জাতির কল্যানের জন্য একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন, ছোট খাট কুটির শিল্পের প্রতিষ্ঠা, সেলাই, সুতা, কাটা এবং  উলের কাপড় চোপড়  বুনন ব্যাপারে সর্ব ব্যবস্থা অবল্বন করিবে।

(ঙ)       শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনঃ এই ব্যাপারে অত্র সংস্থা  সর্বময় প্রচেষ্টা চালাইয়া যাইবে। এই উদ্দেশ্য সংস্থা  সময় সময় বিভিন্ন ধরনের খেলা ধুলা নিয়মিত ব্যায়ামের ব্যবস্থা, বিতর্ক সভা ও সেমিনার এবং অন্যান্য সংস্ক্রিতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা  করিবে।

(চ)       পরিবার পরিকল্পনা : অত্র এলাকার সকল লোকের  নিকট সরকার কর্তৃক গৃহিত পরিবার পরিকল্পনা  প্রয়োজনীয় ও উপকারিতা সম্পর্কে সংস্থার বিশদ ব্যাখা প্রদান করিবে। সময় সময় আলোচনা সভা ও বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করবঃ সরকারের এই নীতিকে সাফল্য মন্ডিল করিবার জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাইয়া যাইবে।

(ছ)       চিত্তবিনোদন মূলক পরিকল্পনা:  এই সংস্থার  বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের চিত্ত বিনোদনের জন্য খেলা ধূলা সংস্ক্রিতি অনুষ্ঠান সাময়িক পত্র পত্রিকা পাঠাগার বিতর্ক সভা প্রভৃতি ব্যাপারে সর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

(জ)      বয়স্কলোকদের মধ্যে নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগানোর পরিকল্পনা: সকল  লোকের মধ্যে নাগরিক অধিকার দায়িত্ব জাতীয়তা বোধ ও আমাদের সংস্ক্রিতি ঐতিহ্য সম্পর্কে  অবহিত করা হইবে। ইহাই এ সংস্থার অন্যতম প্রধান কাজ।

(ঝ)       শিক্ষা বিষয়ক পরিকল্পনা: অত্র এলাকার বয়স্ক লোকদের মধ্য হইতে  নিরক্ষরতা দুরীকরনার্থে নৈশ্য বিদ্যালয় স্থাপন ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিক্ষার উপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকল্পে এই সংস্থার সকল প্রকার  প্রচেষ্টা চালাইয়া যাইবে।

(ঞ)      এই সংস্থার  অত্র এলাকার সকল শ্রেণীর লোকের জন্য দৈহিক ব্যায়াম প্রাথমিক চিকিৎসা রাইফেল চালনা বিভিন্ন প্রকার হুশিয়ারী সংকেত ইত্যাদি সমাজ সেবা মুলক কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করিবে।

(ট)       এই সংস্থার পল্লি উন্নয়ন পানি সেচ, পানি নিষ্কাশন ঔষধ পত্র প্রদান এবং প্রয়োজনের সময় জনসাধারণের মধ্যে আর্থিক সাহায্য দানের ব্যাপারে সর্ব ব্যাবস্থা গ্রহণ করিব।

(ঠ)       কর্মক্ষম ভিক্ষুক এবং পগুলোকেরা যাহাতে ভিক্ষা না করিয়া মর্য্যাদার সাথে যাহাতে জীবন যাপন করিতে পারে সেই জন্য এই সংস্থা কার্য্যকরী ব্যবস্থা  গ্রহণ করিবে।

(ড)       এই সংস্থা একটি সমাজ কল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে শিক্ক্রিতি পাওয়ার জন্য অমাদের দেশের ভিতরে ও বাহিরে সরকারী ও সরকারী পর্যায়ে সর্ব প্রচেষ্টা নিয়োগ করিব।

(ঢ)       এই সংস্থা  স্ন্যাসনিও জাতিয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংস্থার  উদ্দেশ্যর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ অন্য যে কোন সংস্থার সহিত সর্বপ্রকার প্রচেষ্ট চালাইয়া যাইবে।

এই উদ্দেশ্যগুলো যদি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল করা যায় তা হলে আমাদের গ্রামে কি ধরণের উন্নতি হবে?

তাই সকলের উদ্দেশ্যে বলব  ছোটদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমার নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য  টেনে ৫০ বছরের পিছনে নিয়ে যাওয়ার  চেষ্টা না কর সহযোগীতা করুন, নিজেকে বড় মনের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিন, আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উন্নতির শিখরে পৌছার সুযোগ করে দিন।

বর্তমানে যারা কার্যকরী কমিটির পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন তাদের কাছে নিবেদন। আপনাদের জন্মের অনেক আগেই এই সংঘটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আপনারা যখন কার্যকরী কমিটিতে যুক্ত হন তার পর সর্বাজ্ঞে মনে রাখতে হবে সংঘটি কারা প্রতিষ্ঠিত করেছে কারা এই সংঘে সময় দিয়ে কার্যক্রম সচল  রেখে আপনার পর্যন্ত  পৌঁছেছে। তাদের যথাযথ সম্মানের স্থানে রেখেই  সংঘ পরিচালনা করবেন। মনে রাখবেন আজকে আপনার প্রদানকৃত সম্মান পরবর্তীতে আপনার কাছে ফিরে আসবে কাউকে অসম্মান তাও আসবে।