আলোর প্রদীপ যেন নীভে না যায়

যুদ্ধবিধস্ত একটি দেশের মধ্যে যখন আমাদের গ্রামের মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছিল,  তখন কিছু আলোকিত মানুষের বিবেক  থেকে দুরদর্শী চিন্তা ভাবনায় গড়ে উঠেছে আমাদের জাগরণী সংঘ। এই আগে বা পরে আশ-পাশের গ্রামে তথা কাপাসিয়া থানায় অনেক সংঘ গড়ে উঠেছিল। মহা  জৌলুশে দ্বীপ্ত হয়ে জ¦লে উঠেছে অনেক সংঘ, আবার নিভে  গেছে। কিন্তু আমাদের সংঘটি ধীরে ধীরে অর্নিবান শিখা হয়ে আজও জলছে এবং অনেক ভাল ভাল কাজে অংশগ্রহণ করতেও সক্ষম হয়েছে। যার আলোতে আলোকিত আমাদের গ্রাম। গ্রামের মানুষের কাছে একটি উৎসবমূখর স্থান । প্রতি ২ বৎসর পর পর সংঘের প্রাণ  যেন  জেগে উঠে। আমরা সবায় ভাল-মন্দকে ভাগ করে নেই। দুই বৎসরের ফিরিস্তি  দিতে যেন দম বন্ধ হয়ে যায় কার্যকরী কমিটির লোকদের। অনেক প্রবীন ও অভিজ্ঞ সদস্যদের নিকট যেতে হয় কাজের অভিজ্ঞতা সংগ্রহণ করতে। এ এক পরম শিক্ষা। অভিজ্ঞজন কমিটির কাজে সহযোগীতা করতে পেরে খুশি, আবার অনেকে ত্রুটিগুলো  খুঁজে  বের করতে ব্যস্তু। ত্রুটি  পেয়ে  গেলে মহা খুশি আর কার্যকরি কমিটির লোকের মন খারাপ। এত কিছুর পরেও নুতন কমিটি নুতন করে শুরু সকলে মিলে কাজ করা। ঈদ উৎসবগুলো পালন করা, জাতীয় দিবসগুলোর সম্মান করা, কি আনন্দ, পিঠা  মেলা, ১লা বৈশাখ, বড়  কোন খেলার আয়োজন করা কি মজা। আবার কোন সদস্য যখন চিরবিদায় নেয়, তখন তার জন্য দোয়া মাহ্ফিলের আয়োজন করা এই সংঘের নিয়মিত কাজের অংশ। অর্থাৎ সমাজের মঙ্গলার্থে আমাদের এই সংঘটি  যে একটি উজ্জল আলোর প্রদীপ এই বিষয়ে কারো কোন প্রকার সন্দেহ নাই।

তবে আমাদের কিছু কিছু ভুলের কারণে সংঘে উজ্জ¦লতা একটু নিমজ্জিত হয়। তবে আবার বিজ্ঞ অভিজ্ঞ সদস্যদের বিচক্ষনতা দ্বারা তার দ্বীপ্ততা  ফিরে  পেতে সক্ষম হয়। বর্তমানেও আমাদের কিছু সমস্যা আছে এগুলো সমাধানে আমাদের বিজ্ঞ অনেক সদস্যরা আছেন তারাই সমাধান করবেন আশা রাখছি। আমাদের মধ্যে সচিব, জজ, এডভোকেট, শিক্ষক, অডিটর, ভিবিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রতিষ্ঠিত প্রাভেট কোম্পানীর এম.ডি ও  ভিবিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ আছেন। আমরা সবায় অনেক ভদ্র আমাদের কারো মনে এই বাসনা নাই যে, উজ্জল আলোর প্রদীপটি নীভিয়ে ফেলার। তার পরও যদি কখনও  কোন ঝড় কিংবা সাইক্লোল আসে তবে আমাদের সেই ঢাল তলোয়ারও আছে প্রদীপটিকে রক্ষা করার। আমরা সবায় এক হব সংঘটিকে রক্ষা করব এই মন্ত্র আমাদের সবার মনে গাঁথা। সকল সদস্যদের কাছে বিনীত নিবেদন এমন কিছু করবেন না যাতে সংঘের কোন প্রকার ক্ষতি হবে। প্রয়োজনে নিজেরাই ছাড় দিবেন। সবায় মিলে প্রতিরোধ দেওয়াল তুলে রাখব জাগরণী সংঘ নামক আলোর প্রদীপ যেন নীভে না যায়।